আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ২০৩০ সালের পর আর পরিচালনা করবে না নাসা। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে কেটি হান্ট লিখেছেন, ২০০০ সালে সার্ভিসে আসা এই মহাকাশ স্টেশনটিকে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি প্রত্যন্ত অংশে বিধ্বস্ত করা হবে যা নিমো পয়েন্ট নামে পরিচিত।
জুলভার্নের ‘টুয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি’ উপন্যাসের সাবমেরিনের নাবিক নিমোর নামানুসারে এই পয়েন্টটির নাম রাখা হয়েছে। সমুদ্রের এই অংশটি ভূমি থেকে সবচেয়ে দূরে এবং অন্যান্য অনেক মহাকাশযানের এখানে সলিল সমাধি হয়েছে।
এলাকাটি নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ৩০০০ মাইল দূরে এবং অ্যান্টার্কটিকার ২০০০ মাইল উত্তরে। অনুমান করা হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান এবং ইউরোপের অনেক দেশ ১৯৭১ সাল থেকে এখানে ২৬৩টিরও বেশি মহাকাশযান ডুবিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) পৃথিবীর ২২৭ নটিক্যাল মাইল উপরে প্রদক্ষিণ করছে এবং বিশ্বের ১৯টি দেশের ২০০ জনেরও অধিক মহাকাশচারী এখন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেছে। এর মাধ্যমেই মহাকাশে মানুষের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত হচ্ছে।
মহাকাশে চাষবাস
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটি অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণার আবাসস্থল। এখানেই মহাকাশচারীরা শিখেছেন কীভাবে মহাকাশে লেটুস এবং শাক-সবজি উৎপাদন করতে হয়। তারা মহাকাশ স্টেশনে মূলা এবং মরিচ উৎপাদনও বাড়াচ্ছেন৷ তবে এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে ঘিরেও চলে রাজনীতি। বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাবশালী দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে অনেক বছর আগেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেজন্য চীন নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করেছে। আইএসএসের মতো বড় না হলেও, চীনা মহাকাশ স্টেশনটি এই বছরের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণরূপে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে রাশিয়া বলেছে যে, তারা ২০২৫ সালেই আইএসএস প্রকল্প ছেড়ে যাবে এবং ২০৩০ সালে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছে।
কলমকথা/সাথী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।